বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়(জবি)ইউনিটকে নেতৃত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী সমন্বয়ক থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।শনিবার(১৭ আগস্ট)তার নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান করতে গত ২৯ জুলাই ২৭ সদস্যের অফিসিয়াল সমন্বয়ক প্যানেল ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ইউনিট। সেখানে প্রথমে নাম ছিল নূর নবীর।
ফেসবুক পোস্টে নূর নবী জানান,আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক হিসেবে শুরু থেকেই সকল আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি।এক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমাদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে শহিদরা যে রক্ত দিয়েছেন তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। শহিদদের আত্মত্যাগে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশে যেকোনো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবো,ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন,আজ থেকে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।ব্যক্তি স্বার্থবিহীন এই আন্দোলনে শুরু থেকেই মাঠে থেকেছি।ময়দানে ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছি,ময়দান থেকেই গুম হয়েছি এবং পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি,কারাগারে গিয়েছি।এসব কিছুর ঊর্ধ্বে আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি।সে ভালোবাসার মর্যাদা রক্ষা করার জন্য আমি সর্বদা আপনাদের পাশে থাকব,ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য,কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৯ জুলাই ক্যাম্পাস গেট থেকে গ্রেপ্তার হন এই শিক্ষার্থী।পরে ডিবি অফিসে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৬ আগস্ট মুক্তি পান।নির্যাতনের সময় ডিবির হারুন তাকে ক্রসফায়ার দেয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।পানিতে মরিচের গুড়া মিশিয়ে খেতে দেয়া ছাড়াও গোপনাঙ্গে আঘাতসহ ব্যাপক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে গত ৯ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করেন নূর নবী।
Leave a Reply