চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় দিনব্যাপী সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর,চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় কর্তৃক অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।উক্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন সন্দ্বীপ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিগ্যান চাকমা।
উক্ত অভিযানে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রণ) আইন,২০১৩(সংশোধন আইন ২০১৯)এর কতিপয় ধারা লঙ্ঘন করায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সন্দ্বীপ মগধরা ইউনিয়নে শাকিল উদ্দিন খোকনের মালিকানাধীন বিবিএস ব্রিকসের চিমনিসহ কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন,পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী ইফতেকার উদ্দীন।এছাড়া অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন,সন্দ্বীপ থানার পুলিশ ও আনসার সদস্যবৃন্দ।
এসময় মোবাইল কোর্ট নেতৃত্বদানকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিগ্যান চাকমা বলেন,সারাদেশে অবৈধ ইটভাটায় অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দ্বীপেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।অবৈধ ইঠভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর,চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন বলেন,হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক সারাদেশে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চলমান রয়েছে।সন্দ্বীপে আজকেই প্রথম অভিযানে বিবিএস ব্রিকসের চিমনিসহ কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।অভিযান চলমান থাকবে।
প্রতিবছর এইভাবে দুই-একটি ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে পরবর্তীতে আর কোন অভিযান পরিচালনা না করার বিষয়ে জানতে চাইলে,পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন বলেন,হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে তাই অভিযান চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য যে,এই উপজেলায় ১৮টি ইটভাটার মধ্যে ৪টি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই।১৮টি ইটভাটার সবগুলোই গড়ে উঠেছে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই।পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই,নেই ইটভাটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
Leave a Reply