চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় কালাপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামিলীগ মনোনীত প্রার্থী আলিমুর রাজী টিটু(নৌকা)প্রতীকে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা–৪৪৯৭।তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদের (টেলিফোন)।ভোটের সংখ্যা ছিল-১৩৭৭।

নজিরবিহীন নিরাপত্তায় বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে সোমবার নির্বাচন সম্পন্ন হয়।সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কোন প্রকার বিরতি ছাড়াই ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।নয়টি কেন্দ্রে মোট ভোটারের পরিমান ছিল ১৩৬৫৪ জন।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এলাকায় তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।প্রতিটি কেন্দ্রে একজন এস.আই ও একজন এ.এস আই সহ ৫ জন পুলিশ ও কমপক্ষে ১৬ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন এজন্য পুলিশ,কোস্ট গার্ড,ব্যাটালিয়ান আনসার,র‍্যাবের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটকেন্দ্র এলাকায় দিনভর ছিল টহলে ব্যস্ত।এ ছাড়া নির্বাচনী আচরনবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৫ জন ম্যাজিষ্ট্রেট সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মাঝে নানা উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করলেও সোমবার সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহন শুরু হলে উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায়।তবে দুপুর বারোটার দিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের পরিমান কমে যায়,পুনরায় বিকাল ২টার দিকে উপস্থিতি বাড়তে থাকে।ভাংগনকবলিত ৭ নং ওয়ার্ডের ৬০ বছর বয়সী ভোটার জয়নুল আবেদীন বলেন,” নৌকায় ভোট দিতে আইছি,জীবনে এরকম সুষ্ঠু ভোট আর দেই ন(দেখি নাই)।”ভোর ৬ টায় বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদ প্রার্থী ওমর ফারুককে(মোরগ)তার বাড়ীর দরজা থেকে উঠিয়ে নিয়ে মারধর করে সন্ত্রাসীরা।প্রার্থী ফারুকের অভিযোগ ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোশারেফের নির্দেশে তার ছোট ভাইয়ের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে এবং তার এজেন্টদের কাছ থেকে কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।পরে পুলিশের সহায়তায় এজেন্টরা কেন্দ্রে পৌঁছেন।দুপুর একটার দিকে ৮নং ওয়ার্ডস্থ মধ্য কালাপানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে কর্তব্যরত ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক ২জনকে পাঁচ হাজার করে দশ হাজার এবং অপর ২জনকে ২হাজার করে ৪ হাজার মোট বার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।