মিরসরাইয়ে মোটরসাইকেল আটকিয়ে ডাকাতি ও মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসান মেহেদীকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম।
গত ২৭শে আগস্ট ২০২২ ইং তারিখে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন বিএসআরএম কোম্পানীতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত মোঃ ইয়াসিন মোটরসাইকেলযোগে অফিসের ডিউটিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।পথিমধ্যে ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটায় ঘটিকায় তিনি মিরসরাই থানাধীন বড়তাকিয়া বাজার পার হওয়ার সময় ৩জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইয়াসিনের চোখে কড়া টর্চলাইট মেরে মোটরসাইকেল থামায়।তখন উক্ত ডাকাত চক্র ইয়াসিনের বুকে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে আহত করে তার মোটর সাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় ভিকটিম মোঃ ইয়াসিন চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানায় অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৪, তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ,ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
কিছুদিন পূর্বে মিরসরাই থানা পুলিশ বর্ণিত মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এবং তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক জানা যায় বর্ণিত ছিনতাই চক্রের মূল হোতা মেহেদী হাসান মেহেদী।মেহেদী আইন শৃংখলার বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে কুমিল্লা,মিরসরাই এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল।এক জায়গায় বেশিদিন না থেকে বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না।
র্যাব-৭,চট্টগ্রাম উক্ত সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসান মেহেদীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা ও ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে।এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭,চট্টগ্রাম গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ রাত আনুমানিক দুইটায় চট্টগ্রাম মহানগরীর চাদগাও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত ছিনতাই চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসান মেহেদী(২২),পিতা-মীর হোসেন, সাং-পশ্চিম গোবনীয়া,থানা-মিরসরাই, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী নিজেকে মিরসরাই এলাকায় মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের মূলহোতা বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়,সে তার সহযোগীদের সহায়তায় মোটরসাইকেল আরোহীদের চোখে শক্তিশালী টর্চের আলো ফেলে থামাত। তারপর তাদেরকে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেল এবং টাকা পয়সা,মোবাইল ইত্যাদি কেড়ে নিত।কেউ দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করে তাদের সর্বস্ব নিয়ে নিত।
উল্লেখ্য যে,সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ৩টি মামলা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মিরসরাই থানার মামলা নং -১৪ তারিখ ২৮শে আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ,ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড ১৮৬০ এর এজাহার এর মূলে মিরসরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply