চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা ইউনিয়নে ন্যায্য মুল্যে চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে মগধরা আমতলী বাজারের ডিলার বিবি আয়েশার বিরুদ্ধে।মগধরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নাছির মেম্বার তার স্ত্রী বিবি আয়েশার নামে ডিলার নিয়ে তিনি নিজেই এ ব্যাবসা পরিচালনা করেন বলেও জানা গেছে।গত ১৭ই আগষ্ট বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে সুবিধা ভোগীরা।
জানা গেছে,সরকার কর্তৃক গরীব আসহায় মানুষের জন্য ন্যায্য মুল্যে প্রতি কেজি ১৫ টাকা করে জন প্রতি ৩০কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় মাত্র ২২কেজি করে আর এমনটাই বলছে ন্যায্য মূল্যে চাউল গ্রহীতারা।তারই প্রতিবাদে গত ১৭ই অগাস্ট ভুক্তভুগীরা বিক্ষোভ করেছেন।প্রথমে মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষোভ করেন এবং শেষে ফেলিশ্যার বাজারেও বিক্ষোভ করেন ন্যায্য মূল্যে চাউল গ্রহীতারা।
উক্ত বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ন্যায্য মূল্যে চাউল গ্রহীতার মধ্যে প্রায় ৪০জন।তারা হলেন,কুলছুমা বেগম,সোহরাফ,সালাউদ্দিন,মাহফুজ,মেহেরুন নেছা,দেলোয়ার,ছুপিয়ান,ময়ূরা বেগম,মহিন উদ্দিন,নাজমা বেগম,জিয়াউর রহমান,জামাল উদ্দিন,রাহেনা বেগম,জুলেখা আক্তার,জাফর,রোকেয়া বেগম,মিন্টু,আলাউদ্দিন,ইয়াসিন,মাঈন উদ্দিন,সফিক,মনোয়ারা,রুপবান,জনি,নুর আলম,আবুল হোসেন,দিলদার,জামাল,রোকেয়া,সোহেল রানা,নাজিম উদ্দিন,রুজিনা,সাহেদা,আছমা আক্তার,নুরুল আলমসহ আরো অনেকেই।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন,সরকার ন্যায্য মুল্যে ১৫ টাকা করে জন প্রতি ৩০কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও চাউলের ডিলার বিবি আয়েশা দিচ্ছে ২১-২২কেজি করে।এতে ৩০কেজির দাম নিচ্ছে।
একজন ভোক্তভোগী জানান,গত কিস্তিতে আমাদেরকে কোন চাউল না দিয়ে এবার ২১কেজি চাউল দিয়ে কার্ডে তোলেছেন ৬০ কেজি।এ দূর্নিতির বিরুদ্ধে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তিৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে ডিলার আয়েশার স্বামী নাসির মেম্বার বলেন আমার বিরুদ্ধে এটা ষড়যন্ত্র।চাউল ঠিক মতোই দেওয়া হয়েছে।এরপরদিন কিসের চাউল দিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সামনে জানতে চাইলে তিনি বলেন যারা পায়নি তাদের দিয়েছেন।
মগধরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অনলাইনে দেখেছি কিন্তু সরাসরি অভিযোগ কেউ করেনি।
এই বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাখাওয়াত হোসেন বলেন,অভিযোগ পেয়ে পরের দিন মগধরা গিয়ে যারা চাউল পায়নি তাদের মধ্যে ১১০ জনকে দিয়ে এসেছি।এবং নাসির মেম্বারকে কড়া নির্দেশ দিয়েছি যাতে ভবিষ্যতে এমন না করে।
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন,সরাসরি কেউ অভিযোগ দেয়নি তবে শুনেছি।তদন্ত দিয়েছি।
সন্দ্বীপের সকল ইউনিয়নসহ সারা দেশে সরকারের এ সেবা মুলক প্রজেক্ট চালু রয়েছে।তবে সন্দ্বীপের একাধিক ডিলারের বিরুদ্ধে রয়েছে এ অনিয়মের অভিযোগ।ডিলারদের এমন দুর্নিতির কারনে সরকারের সুনামের পরিবর্তে বদনাম বেশি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন
স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা।এমন দুর্নীতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তিৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায় করছেন সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা।
Leave a Reply