নগরীতে গত ৩২ বছরে পাহাড় কমেছে ১৮ দশমিক ৩৬ বর্গকিলোমিটার।এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ পাহাড় শুধু পাঁচলাইশ মৌজাতেই কাটা হয়েছে।রবিবার(১১ জুন) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান।
নগরীর একটি হোটেলে ‘চট্টগ্রাম নগরের পাহাড় কাটা রোধে মতবিনিয়র সভা’ সভায় রিজওয়ানা হাসান বলেন,হাইকোর্ট এবং সরকারের বিভিন্ন সময়ে জারি হওয়া আদেশ উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,বান্দরবান,রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়িতে কাটা হয়েছে পাহাড়।পাহাড় কেটে কীভাবে জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি?
তিনি আরও বলেন,১৯৭৬ সালে চট্টগ্রামে ৩২ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার পাহাড় ছিল।২০০৮ সালে তা কমে ১৪ দশমিক দুই বর্গকিলোমিটারে নেমে আসে।সরকারের বিভিন্ন সময়ে জারি করা আদেশ এবং উচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করেই এই অঞ্চলে পাহাড় কাটা হয়েছে।উচ্ছেদ করা পাহাড়ে আবার গাছ লাগানোর কথাও বলা হয়েছে।পাহাড় কেটে কীভাবে জীববৈচিত্র রক্ষা হবে সেটি আমাদের মাথায় ধরে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,পাহাড় না কেটেও বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সংযোগ সড়ক করা যেত।
বক্তব্য দিতে গিয়ে বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে চসিক মেয়র বলেন,আমাদের বান্দরবান-রাঙামাটির পাহাড় অনেক উঁচু।সেখানে পাহাড়ের ওপর রাস্তা হয়েছে।এখানে তো অত উঁচু ছিল না।তাহলে কেন আমরা চিন্তা করলাম না।ব্যক্তির উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে আমরা পাহাড় কেটে রাস্তা করেছি।আমরা একটা পাহাড় নির্মাণ করতে পারব না।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী,ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সিকান্দার খান ও কাট্টলী সার্কেলের এসি-ল্যান্ড ওমর ফারুক প্রমুখ।
Leave a Reply